হাঙ্গেরি সরকারী স্কলারশিপ | ফুল ফান্ডেড [অনার্স-মাস্টার্স-পিএচডি]

আন্ডারগ্র্যজুয়েট এবং মাস্টার্স পর্যায়ে ৮০ জন এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামে ২০ জনকে এই স্কলারশিপ দেয়া হবে

হাঙ্গেরি সরকারী স্কলারশিপ | ফুল ফান্ডেড [অনার্স-মাস্টার্স-পিএচডি]

হাঙ্গেরি  সরকার ২০১৩ সাল থেকে  স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দিয়ে আসছে।  ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে  প্রায় ৫ হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট,  গ্র্যাজুয়েট, ওয়ান টায়ার মাস্টার্স এবং ডক্টরাল হাঙ্গেরি তে পড়তে পারবে।  গতবছর গুলোর ধারাবাহিকতায় এবছরও বাংলাদেশ থেকে আন্ডারগ্র্যজুয়েট এবং  মাস্টার্স পর্যায়ে ৮০ জন এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামে ২০ জনকে এই স্কলারশিপ দেয়া  হবে। উল্লেখ্য এ নিয়ে ৩য় বারের মত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ  দেয়া হচ্ছে।
হাঙ্গেরি  সরকার এর মাধ্যমে দেশটিতে  বিদেশী শিক্ষার্থী বৃদ্ধি করার নীতি গ্রহণ করেছে।  কোনো শিক্ষার্থী যদি একই  সাথে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ নিতে  ইচ্ছুক থাকে তাহলে ওয়ান টায়ার মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ান টায়ার  প্রোগ্রাম টি দেয়া হচ্ছে জেনারেল মেডিসিন, ফার্মেসী, ডেন্টিস্ট্রি,  আর্কিটেকচার, আইন, ভেটেরিনারি সার্জারি, ফরেস্ট্রি ইঞ্জিন্যারিং ইত্যাদি  সাবজেক্টের ক্ষেত্রে।


স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম

স্কলারশিপের আওতায় যা যা রয়েছেঃ

১। টিউশন ফি
২। মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৩৫০০ টাকা স্টাইপেন্ড, ডক্টরাল প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে যা প্রায় ৪৭ হাজার টাকা
৩।  ক্যাম্পাসের ডরমিটিরিতে বিনা ভাতায় থাকার ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, ডরমিটরিতে  না থাকতে চাইলে মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হবে  বাড়ি ভাড়া ভাতা বাবদ।
৪। মেডিকেল ইনস্যুরেন্স

স্কলারশিপ আবেদন যোগ্যতা


১। বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
২। অবশ্যই ১৮ বছর বয়স হতে হবে। বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে আবেদন করতে পারবেন না।
৩।  আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ব্যান্ড স্কোর ৫ থাকতে হবে। তবে সাবজেক্ট ভেদে  আরো বেশি লাগতে পারে। তাই আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের পছন্দের  সাবজেক্টটির  রিকোয়ারমেন্ট দেখে নিন।

স্কলারশিপে আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১। মোটিভেশন লেটার
২। আইইএলটিএস স্কোর (যদি না থাকে তাহলে ১ আগস্ট ২০২০ এর মধ্যে আইইএলটিএস দিয়ে আপলোড করতে দেয়া হবে)
৩। একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট (সার্টিফিকেট ১ আগস্ট ২০২০ এর মধ্যে আপলোড করতে হবে)
৪। মেডিকেল সার্টিফিকেট (যদি এখন না থাকে তাহলে ১ আগস্ট ২০২০ এর মধ্যে আপলোড করতে হবে)
৫। পাসপোর্ট (যদি এখন না থাকে তাহলে ১ আগস্ট ২০২০ এর মধ্যে আপলোড করতে হবে)


এছাড়া এবার থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সাবমিট করতে হবে।

স্কলারশিপ আবেদন প্রক্রিয়াঃ

আবেদন করতে এখানে একাউন্ট খুলে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রদত্ত এই লিংকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করার পর আবেদনের কপি সহ প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট নিচের ঠিকানায় জমা দিতে হবে।

প্রাপকের ঠিকানা-
যুগ্নসচিব (বৃত্তি)
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়,
বাংলাদেশ সচিবালয় , ঢাকা।

আবেদনপত্র  সচিবালয়ের ২ নং গেট সংলগ্ন অভ্যর্থনা কক্ষের ৯নং কাউন্টারে সকাল ১০.টা  থেকে ১১.০০টা এবং বিকাল ৩.৩০টা থেকে ৪.৩০টার মধ্যে জমা দিতে হবে। জমা  প্রদানের শেষ তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ বিকাল ৪ টা। তবে অনলাইন আবেদন ১৫  জানুয়ারির পর আর সাবমিট করা যাবে না। খামের উপর প্রাপক, প্রেরক, আইডি/ট্র্যাকিং নাম্বার, প্রোগ্রামের নাম লিখতে হবে।

স্কলারশিপ আবেদন সময়কালঃ


১৫ জানুয়ারি- অনলাইন এবং সেন্ডিং পার্টনারের (শিক্ষা মন্ত্রনালয়) কাছে আবেদন সাবমিট
২৮ ফেব্রুয়ারি- টেকনিক্যাল চেক এবং নমিনেশন প্রসেস
মার্চ থেকে মে- সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবেদন প্রক্রিয়া
জুন- ফলাফল
জুন থেকে জুলাই- ভিসা এপ্লিকেশন প্রসেস
সেপ্টেম্বর- হাঙ্গেরি তে আসা